সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

আমি অতি সাধারণ

 আমি অতি সাধারণ

- শাহজাহান ইমরান 

আমি এক স্বল্প জ্ঞানের মানুষ-অতি সাধারণ, আমি খুব কম বুঝি, ম্যানুয়্যালী ফাংশন করি

আমি আমার বাবার মত তড়িৎ গতির মহাসন্মেলন নই,

আমি জনপ্রিয় কেউ নই, বিখ্যাত কেউ নই

বাবা ছিলেন আকাশের বিশালতায় হিমবায়ু বুকে ধারণ করা বিশাল বাস্পিভূত এক জলধর

আমি হলাম তরল, মধ্যাকর্ষণের টানে নাড়ি ছিড়ে লাফিয়ে পড়ি ভূপৃষ্টে; আকাশ থেকে যখন তখন

বাবা ছিলেন বড় সাহসী, বন্দুক তাক করে নৌপথে যেতেন প্রায়ই, উড়ে যাওয়া সাদা বকের খুঁজে

আরশীতলে, কখনো পিঠ উদোম রৌদ্র ছায়াতল বাড়ীর উঠোনে বসতেন তিনি-মাটি মানুষের ঘ্রাণে

আমি শুধু থাকি ঘরের কোণে উষ্ণ চাদরে সিঁকি কড়ি জমা করার তালে,

রক্তে ভীষণ ভয়, হোক বক কিংবা বুক, শিকারীর মেয়ে আমি শিকার হই নিজ বলে

আমার মা ছিলেন ভীষণ ভালো, সংসার কাগজে মুড়ে নৌকা ভাসাতেন চোখের জলে

আমি হলাম স্বাধীন ঘুরি, আকাশ পথে মেঘ সরিয়ে উড়ে যাই খেয়াল খুশীমত যেদিকে পারি

আমার এক আংকেল, তিনিও ভীষণ মেধাবী- বড় বড় ডিগ্রী জমা করেন নিজ গুনে

আমি শুধু পারি কারো ভাতের হাড়িতে দুটো কাঁচা মরিচ গুঁজে দিতে; পিঠে চাপরিয়ে

ব্যবধানে আকাশ-পাতাল, ভাল-মন্দ বুঝিনা আমি, প্রায়ই থমকে দাঁড়াই শীর্ণ বৃক্ষতলে

দেখি-কি নিগুঢ় মমতায় ঝড়া পাতাগুলো জমিন ঝাপটে থাকে আকাশ তলে; সঙ্ঘবদ্ধভাবে

যখনই মুখ ফিরাতে ব্যাস্ত হই নিজ পথে,

ওরা আমায় ডাকে ফিসফিস করে -আয় আয় আয়!

আমি অতি সাধারণ ক্ষুদ্র এক মানুষ,

চেতনায় যার বৃহৎ কিছু ধারণ করার ক্ষমতা নেই

আমার দূর্বল মগজ খেয়ে যায় আহত পিপিলীকা, ঝড়ে পড়া হলদে-কমলা-লাল পাতা

আমি আকাশ দেখিনা, আকাশে কোন রং দেখিনা

চোখে ভাসে শুধু দৃশ্যমান একদল কুকুর শুয়ে থাকে তাদের পাশে: আকাশ তলে।

সাজিয়ে নিও আমার ভালোবাসা

 মনটা দিলাম তোমার হাতে যতন করে রেখো, হৃদয় মাঝে ছোট্ট করে আমার ছবি এঁকো স্বপ্ন গুলো দিলাম তাতে, আরো দিলাম আশা মনের মত সাজিয়ে নিও আমার ভালোবাসা ।

বিবেকের কাছে প্রশ্ন

বিবেকের কাছে প্রশ্ন

-শাহজাহান ইমরান

মানুষের আবেগ আছে বিবেক নেই
চোখ ভরা অস্রু নিয়ে কাঁদতে জানে
হাতে হাত রেখে প্রতিবাদ করতে জানেনা।
আঁধারের মাঝে আলোকে খুঁজে বেড়ায়
তবু প্রদীপ জ্বেলে আলোকিত করতে পারেনা
দু'চোখ ভরে রঙ্গিন স্বপ্ন বুনতে পারে
সেই স্বপ্ন সত্যি করতে পরিশ্রমী হতে পারেনা।
জীবন যুদ্ধে বারবার পরাজিত হয়েও
আসার প্রদীপ জ্বালাতে শিখেনা।
হাটে-বাজারে চড়া দামে নিজের বিবেক
অন্যের হাতে তুলে দিতেও লজ্জিত হয়না
কোথায় যাবে দেশ?কী হবে মানুষের?
কার কাছেই বা এই প্রশ্ন তুলবে!
কেইবা উত্তর দিতে পারবে এর।
এভাবে চলতে থাকলে দেখবে একদিন
অথই সমুদ্রে কচুরিপানা হয়ে ভাসছি।
যতদিন নয় মানুষের বিবেক জাগ্রত হবে
ততদিন পিছিয়ে থাকবে মানুষ আর দেশ।
হায়রে মানুষ হায়রে দেশ
কোথায় মিলবে এর শেষ